ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

ইকবাল হাসান হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির দাবিতে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন

কালের সমাজ | জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০১:১১ পিএম ইকবাল হাসান হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির দাবিতে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জের পিপুলবাড়িয়া বাজারে বগুড়া শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে ইকবাল হাসান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন ইকবাল হাসানের বাবা আব্দুল করিম, বোনজামাই রাশেদুল ইসলাম, ভাই হায়দার মাস্টার, বন্ধু খাইরুল বাশার রাব্বি এবং এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে ইকবাল হাসানের বাবা আব্দুল করিম বলেন, "আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার চাই এবং এই বিচার প্রকাশ্যে হতে হবে। বিচার নিয়ে কোনো প্রকার তালবাহানা চলবে না।" তার এই বক্তব্যে উপস্থিত জনতা সমর্থন জানায় এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানায়।

ইকবাল হাসানের হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে রতনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইকবাল ও রতনের মধ্যে পূর্ব থেকে কিছু ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল যা এই হত্যাকাণ্ডের কারণ হতে পারে।

বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের অভিযোগ, মামলার তদন্তে ধীরগতি এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপের কারণে ন্যায্য বিচার হয়ত বিলম্বিত হতে পারে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মামলায় দ্রুত তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সমাজ-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধরনের অপরাধের দ্রুত বিচার না হলে, তা সমাজের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়াতে পারে।

মানববন্ধনের সময় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা ইকবাল হাসানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে মামলার তদন্ত প্রভাবমুক্ত থাকে এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, এই হত্যাকাণ্ডের প্রভাব শুধু ইকবালের পরিবারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; এটি স্থানীয় সমাজকেও প্রভাবিত করেছে। এই ধরনের ঘটনাগুলি সমাজে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আইনি কাঠামোর দৃঢ়তা প্রয়োজন।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner

গ্রাম-গঞ্জ বিভাগের আরো খবর

Link copied!