বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে গণহত্যায় জড়িত ফ্যাসিবাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে তার আলোকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন অপরিহার্য।
একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। তিনি কর্মীদের সংগঠিত হয়ে মাঠে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ভোটারদের কাছে সংগঠনের বার্তা পৌঁছে দিতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কর্মশালায় খুলনা-৬ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনী কৌশল, ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি শক্তিশালী করা, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে অন্তাবুনিয়া শিমলারআইটে নির্বাচনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মহারাজপুর ইউনিয়ন আমীর মাস্টার সাইফুল্লাহ হায়দার ও সেক্রেটারি মাওলানা আওছাফুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ, জেলা সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কয়রা উপজেলা জামায়াত আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সায়ফুল্লাহ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদদের পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। আহত ও পঙ্গুদের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও জুলাই সনদকে আইনী স্বীকৃতি দিয়ে গণতন্ত্রের সঠিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষায় আগামী নির্বাচন অবশ্যই প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়, তবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হতে হবে।
কালের সমাজ/ মা.বি./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :