ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

জুলাই–আগস্ট আন্দোলন মামলায় নাহিদের দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম জুলাই–আগস্ট আন্দোলন মামলায় নাহিদের দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। মামলায় আসামি রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরও একজন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা থেকে ৪:৩০টা পর্যন্ত নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। তখন কার্যক্রম সম্পূর্ণ না হওয়ায় তা পরবর্তীতে আজকের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজকের কার্যক্রমে অবশিষ্ট সাক্ষ্য প্রদান করেন নাহিদ, এরপর তাকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়। এই মামলায় ১৮তম দিন পর্যন্ত মোট ৪৭ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, ১৪ জুলাই ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের “রাজাকারের বাচ্চা” এবং “রাজাকারের নাতিপুতি” আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণকে বৈধতা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছেন। তার মতে, সরকারের বিরোধী আন্দোলনকে ছোট করতে এমন বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন যে আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগ যথেষ্ট। ১৬ জুলাই সারা দেশে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজন নিহত হন। ১৭ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা আন্দোলন প্রত্যাহার এবং সংলাপে বসার জন্য চাপের মুখে পড়ে। সেই সময় বহু শিক্ষার্থী আহত ও নিহত হন। ১৮ জুলাই দেশব্যাপী পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন ঘোষণা করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। মামলায় মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র, ৮১ জন সাক্ষী ও বিপুল পরিমাণ প্রমাণপত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কালের সমাজ // র.ন

Side banner
Link copied!