অবসর-পরবর্তী জীবন নিয়ে অনেক সময় ক্রীড়াবিদরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। এ বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) আয়োজন করেছে “অ্যাথলেট ৩৬৫+ কর্মশালা”। কর্মশালাটি পরিচালনা করেছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মাস্টার এডুকেটর শ্যারন স্প্রিংঙ্গার।
দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নেন বিভিন্ন ফেডারেশন থেকে নির্বাচিত ৩৭ জন নারী ও পুরুষ ক্রীড়াবিদ। অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে শ্যারন বলেন, “খেলোয়াড়দের সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা সাধারণ পেশাজীবীদের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। বরং তাদের স্কিল আরও বেশি। তাই অবসর জীবনের জন্য কিভাবে প্রস্তুত হতে হবে এবং সাফল্যকে সঠিকভাবে সিভি বা কাভার লেটারে উপস্থাপন করতে হবে—সেই বিষয়ে আমরা কাজ করেছি।”
এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী সাঁতারু ও বিওএ অ্যাথলেট কমিশনের সদস্য মাহফুজা খাতুন শিলা কর্মশালাকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে বলেন, “অবসরের আগে থেকেই ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কেমন হতে পারে, তা আমরা পরিষ্কারভাবে জানতে পেরেছি।”
অন্যদিকে দেশের স্বর্ণজয়ী শুটার শাকিল আহমেদ বলেন, “ক্রীড়ার পাশাপাশি পেশাদার দক্ষতা অর্জন করলে দেশে ও বিদেশে কাজের সুযোগ তৈরি হয়। এজন্য কোন প্রস্তুতি দরকার তা আমরা শিখেছি।”
বিওএ সাধারণত নিয়মিত সলিডারিটি কোর্স আয়োজন করে থাকে। তবে এটাই প্রথমবার অবসর-পরবর্তী ক্যারিয়ার নিয়ে আলাদা উদ্যোগ নেওয়া হলো। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
কালের সমাজ // র.ন
আপনার মতামত লিখুন :