সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন ও বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ৩০ বছর করার দাবিসহ আট দফা দাবি মানতে সরকারের আশ্বাস পাওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল এই ধর্মঘট।
রোববার (১০ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সরকারের সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হয় এবং সমাধানের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার।
এর আগে, ২৭ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ আট দফা দাবি উপস্থাপন করে এবং দাবি আদায় না হলে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।
বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতা শামসুর রহমান শিমুল বলেন, “সরকারকে জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করা উচিত নয়। সরকারের সিদ্ধান্ত আইনি প্রক্রিয়ায় প্রয়োগ হবে। যুক্তিসংগত দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে, তাই ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি।”
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ ধারাসহ সংশোধনী গ্রহণ,
বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা,
পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে বিআরটিএ অভিযান স্থগিত রাখা,
দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর কমিয়ে আগের মতো রাখা,
রিকন্ডিশন বাণিজ্যিক যানবাহনের আমদানি মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে ১২ বছর করার সুপারিশ,
দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থানায় আটক হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের কাছে হস্তান্তর,
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন,
মহাসড়কে তিন চাকার ও অনুমোদনবিহীন হালকা যানবাহনের জন্য পৃথক লেন ব্যবস্থা,
দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন সরবরাহ,
শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম ও বিভিন্ন পরিবহন সংগঠনের নেতারা।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :