ঢাকা সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

‘হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি বলির পাঁঠা হয়েছি’: টিউলিপ সিদ্দিক

কালের সমাজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম ‘হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি বলির পাঁঠা হয়েছি’: টিউলিপ সিদ্দিক

বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, মামলা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল।

গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে টিউলিপসহ ২১ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার শুনানি ১১ আগস্ট নির্ধারিত রয়েছে। তবে টিউলিপ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্র দেখেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকে আছি, যেখানে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী।’

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কারণে প্রয়োজনে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার হতে পারে।

টিউলিপ বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয় লাভের পর তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই সময় বাংলাদেশে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে শেখ হাসিনার সরকার পতিত হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অর্থনীতিবিদ ও হাসিনার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ শুরু হয়।

প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা টিউলিপ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন। পরে ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগেও তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্য কারো বাড়িতে থাকার বিষয়েও সমালোচনার মুখে পড়েন টিউলিপ। তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার স্বাধীন উপদেষ্টা তার আর্থিক বিষয়াদি খতিয়ে দেখে অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দিয়েছেন।

টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ‘নোংরা রাজনীতি’ তার বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল, আর আমি এর বলি হয়েছি। বাংলাদেশে যারা অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই।’

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!