টেস্ট পরিসংখ্যান একটু ভদ্রস্থ করতেই যেন জিম্বাবুয়েকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ—এমন ধারণা অনেকের। দুই দশকে শক্তিমত্তায় অনেক এগিয়ে যাওয়া টাইগাররা যেমন, তেমনি জিম্বাবুয়ের স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার ঘাটতি চোখে পড়ার মতো। তবে এসব ব্যাখ্যা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে সিলেটে হতাশার চূড়ায় পৌঁছাল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দুই যুগ আগের ২০০১ সালের পর আবারও দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ। সেদিন ঢাকায় অলআউট হয়েছিল মাত্র ১০৭ রানে। আজ, ২০ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ১৯১ রানে। ব্যাটিংয়ে অদূরদর্শিতা, দায়িত্বহীনতা আর মনোযোগহীনতার চূড়ান্ত নিদর্শনই যেন দেখা গেল পুরো ইনিংসে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ইতিবাচক শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই।
দলীয় ৩১ রানে ভিক্টর নুয়াইসির বলে ব্যাটের বাইরের কানায় বল লাগিয়ে গালিতে ক্যাচ দেন সাদমান (২৩ বলে ১২)। পরের ওভারেই জয় (৩৫ বলে ১৪) উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন, দলীয় স্কোর তখন মাত্র ৩২।
এরপর শান্ত ও মুমিনুল মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু ৯৮ রানে শান্ত বিদায় নিলে (৬৯ বলে ৪০), আবারও ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে। ২৫ রানের ছোট জুটি গড়ে ১৮ বলে ৪ রান করে মুশফিক ফিরেন শর্ট মিড উইকেটে।
মুমিনুল অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন (১০৫ বলে ৫৬, ৮ চার, ১ ছক্কা)। তবে বেশিক্ষণ টিকেননি তিনিও। মাসাকাদজার বলে বিদায় নেন তিনি। এরপর একে একে মেহেদী হাসান মিরাজ (১), তাইজুল ইসলাম (৩), হাসান মাহমুদ (১৯), জাকের আলী (২৮) এবং শেষ ব্যাটার নাহিদ রানা ফিরে গেলে ১৯১ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৩টি করে উইকেট নেন। ভিক্টর নুয়াইসি ও ওয়েসলি মাধেভেরে তুলে নেন ২টি করে উইকেট।
সিরিজ শুরুর আগেই যাঁরা ভেবেছিলেন এটি বাংলাদেশের জন্য হবে একপ্রকার আত্মবিশ্বাস ফেরানোর সিরিজ—তাদের হয়তো এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
কালের সমাজ//এ.স//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :