বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। গত ৩১ আগস্ট একক ডিগ্রির দাবিতে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে উপাচার্যসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষককে টানা আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
এরপর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ছয় দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। আলোচনার সময় উপস্থিত ৪০ জন শিক্ষার্থী ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। এ তথ্য বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত ফেসবুক গ্রুপ ‘বাউ ইনফিনিটি’-তে এক পোস্টে জানানো হয়।
আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন এবং সভার সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা আলোচনায় অংশ নিতে প্রথমে শর্ত দিয়েছিলেন যে, হল ভ্যাকেন্ট নোটিশ প্রত্যাহার না করলে তারা আলোচনায় বসবেন না। তবে দ্রুত সমাধানের স্বার্থে শর্ত ছাড়াই আলোচনায় যোগ দিয়ে তাদের ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। আলোচনায় সবচেয়ে গুরুত্ব পায় একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়টি, যদিও এর চূড়ান্ত সমাধান এখনো হয়নি।
আলোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:
সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে হল ভ্যাকেন্ট নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে।
আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে একাডেমিক বা প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হবেন না—এ বিষয়ে লিখিত নিশ্চয়তা দেবে প্রশাসন।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা পুনরায় শুরু হবে।
এ বিষয়ে প্রশাসন পরদিন বিকাল ৫টার মধ্যে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করবে।
শিক্ষক অবরুদ্ধের ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় উপস্থিত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। তবে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবির সমাধান নিয়ে আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :