ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনীও।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা উদ্বোধনকালে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে জাতীয় সংকটে নেতৃত্ব দিয়েছে। ডাকসু নির্বাচনও একটি গণতান্ত্রিক উদাহরণ স্থাপনের সুযোগ তৈরি করেছে।”
তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
প্রথম স্তর: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রক্টোরিয়াল টিম ও ডিএনসিসির ২০০ সদস্য ৮টি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।
দ্বিতীয় স্তর: মোতায়েন থাকবেন পুলিশ সদস্যরা।
তৃতীয় স্তর: সেনা সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত থাকবেন। তারা পাঁচ মিনিটের মধ্যে যে কোনো কেন্দ্রে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন এবং ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে ক্যাম্পাসে সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
বিশেষ নির্দেশনা
ভোটের সাত দিন আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না।
৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
কেবল বৈধ পরিচয়পত্রধারী শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন।
প্রার্থীদের প্রতি সতর্কবার্তা
রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় যেন শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, শহীদ বা দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য সহ্য করা হবে না।
এছাড়া তিনি জানান, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী বা অন্য কোনো পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক বক্তব্য দিলে শুধু প্রার্থিতা নয়, প্রার্থীর ছাত্রত্ব ও আবাসিক সিটও বাতিল করা হবে। অনলাইনে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বা হয়রানির প্রমাণ মিললে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচেতন অংশগ্রহণের আহ্বান
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “৪০ হাজার শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই এই নির্বাচন সফল হবে। জাতি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডাকসু নির্বাচন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, বরং গোটা দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে।
কালের সসমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :